বাসা ও অফিস বদলের ট্রাক ও লেবার
বাসা বদলের ট্রাক ও লেবার নির্বাচন করতে হয় খুব ভেবে চিন্তে।
বাসা বদলের ট্রাক ও লেবার সংগ্রহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তাই ইহা নির্বাচন করার সময় খুব ভেবে চিন্তে ঠিক করতে হবে। মনের রাখতে হবে আপনার শখের আসবাবপত্র ও মালামাল সবকিছু তাদে হাতে ছেড়ে দিতে হবে। তারা কতটুকু এগুলোর যত্ন নিবে তা নির্ভর করে পেশাদার ও সত শ্রমিকের উপর। এম
এমনিতে বাসা স্থানান্তরের সময় ঘনিয়ে আসলে পেরেশানী বেড়ে যায়, এসময় ডান্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। একমাস আগে থেকেই জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে যায়। কিভাবে শিফটিং করব, কাকে দিয়ে করাব। শখের আসবাবপত্র নষ্ট করে ফেলবে নাতে। কোন কিছু চুড়ি হয়ে যাবে নাতো? হরেক রকমের চিন্তা মাথায় এসে ভর করে। ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা অসংখ্য কোম্পানীর মধ্যে প্রকৃত মুভিং কোম্পানীর জন্য নেটে খোজাখুজি করতে গিয়ে কেউ কেউ সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে সর্বনাশ করে ফেলেন। তাই ভেবে চিন্তে শিফটিং কোম্পানী বাছাই করতে হবে। নতুবা শুধু আফছোছই করতে হবে কোন লাভ হবেনা। বাসা শিফটিং এর সাথে আরো কত রকমের কাজ যে রয়েছে তার অন্ত নেই। সর্ব প্রথমেই আসে প্যাকিং-আনপ্যাকিং, ফার্ণিচার খোলা-ফিটিং, লোডিং-আনলোডিং ট্রান্সপোর্ট ইত্যাদি।
বাসা স্থানান্তরের জন্য আমাদের সেবা নিলে আমরা যা করে থাকি:
ধাপ- ১ঃ বাসা বদলের প্যাকিং
বাসা বদলের পূর্বে নিধারিত তারিখ ও সময়ে আমাদের প্যাকার্সরা হাজির হয়ে যায় প্যাকিং এর জন্য। সঙ্গে নিয়ে যায় প্রয়োজনীয় সব প্যাকিং ম্যাটারিয়ালস। প্যাকিং করার জন্য বাসার মালিকের ঘর থেকে কোন কিছুই নিতে হয়না। ক্রোকারিজের আইটেমে র্যাপিং পেপার, বাবল পেপার, নিউজ পেপার ইত্যাদি দিয়ে র্যাপিং করে কার্টুন বক্সে ভরে ট্যাগ করে রাখে। কাঁচ ও ভঙ্গুর পদার্থের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা চিহ্ন স্টিকার(ফ্রেগল) লাগিয়ে দেয় বক্সের গায়ে। যাতে করে যে কেউ বুঝতে পারে বক্সে ভিতর কি আছে। ফলে মামামালের ক্ষয়ক্ষতি হইতে রক্ষা পাওয়া যায়। আলমারীর কাপর ও পর্দা- পলি ব্যাগের মধ্যে ভরে কার্টুনে রাখা হয়। পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বক্সে রেখে ঐ সদস্যের নাম লিখে রাখা হয়। শিশুদের জিনিসপত্র আলাদা বক্সে রাখা হয়। ব্যক্তিগত ও নগদ অলংকারাধী আমারা প্যাকিং করিনা। বাসার মালিককে আগেই নোটিশ দিয়ে দেয়া হয় নিজেরা বহন করার জন্য। ইলেকট্রনিক্স জিনিস সমুহ বিশেষে ব্যবস্থায় প্যাকিং করা হয়। ইন্টান্যাশনাল মুভিং এর ক্ষেত্রে বিশেষ প্যাকিং ম্যাটারিয়ালস ব্যবহার করা হয়। যেমন: ককশিট ও কাঠের বক্স ব্যবহার করা হয়। ভিতরে সিলিকন জেল ব্যবহার করা হয়।
ধাপ- ২- বাসা বদলের টেকনিশিয়ান:
এই ধাপে বাসায় যেসব টেকনিক্যাক কাজ থাকে যেমন: ফ্রীজ, এয়ারকন্ডিশন, ফ্যান, গিজার, আইপিএস, ভার্টিক্যাল পর্দা, গ্যাসের চুলা সহ বিভিন্ন রকমের টেকনিক্যাল কাজ থাকে। ইলেকট্রিক কাজের জন্য ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, ফার্ণিচার খোলা ও ফিটিং এর জন্য ফার্ণিচার মিস্ত্রী আলাদা ভাবে পাঠানো হয়। আমাদের টেকনিশিয়ানরা এগুলো খুলে আলাদা করে প্যাকিং করে ট্যাগ লাগিয়ে রাখেন। বাসার মালিকের নির্দেশনাক্রমে শিফটিং এর পূর্বেই ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্র পুরাতন বাসা থেকে খুলে নতুন বাসায় ফিটিং করা হয়। যেদিন ফার্ণিচার ও অন্যান্য আসবাপত্র শিফটিং হবে সেদিন কোন প্রকার খোলা ও ফিটিং এর কাজ করা হয় না।
ধাপ-৩- বাসা বদল পরবর্তী ১সপ্তাহের ওয়ারেন্টি:
ওয়ারেন্টিঃ টেকনিক্যাল কাজের জন্য এক শিফটিং এর দিন হইতে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিসিং প্রদান করা হয়। কারন ফিটিং এর পর কিছু সমস্যা থাকতেই পারে, তাই কাজ সম্পন্ন হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে কোন সমস্যা হলে আমাদের টেকনিশিয়ান পাঠিয়ে মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়। যদিও ফিটিং এর সময় রান করে দেখিয়ে দিয়ে আসা হয় তবুও আমরা সাত দিন পর্যন্ত এই সেবা দিয়ে থাকি। তবে সাত দিনের বেশী হইলে আমরা এই দায়িত্ব গ্রহন করিনা।
ধাপ- ৪ঃ বাসা বদলের লেবার, ট্রাক, পিকাপ ও কাভার্ড ভ্যান:
বাসা বদল করতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান প্রয়োজন পরে যেমন: লেবার, ট্রাক, ও কাভার্ড ভ্যান ইত্যাদি। বিশেষ করে বর্ষাকালীন সময়ে কাভারড ভ্যান ছাড়া মালামাল ভিজে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বেশী দূরত্বে শিফট করা কিংবা অত্যন্ত মূল্যবান সামগ্রীর ক্ষেত্রে কাভারড ভ্যান ব্যবহার করাই শ্রেয়। ঝড় বৃষ্টি ও বিরুপ আবহাত্তয়ায়, হরতাল অবরোধ রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কভারড ভ্যান নিরাপদ। খোলা ট্রাক ও পিকাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধাও আছে যেমন: আসবাবপত্র ট্রাকে লোড দেয়ার পর প্রথমে পলিথিন দিয়ে ঢাকা হয় তার উপর ট্রিপল দেয়া হয়। ট্রিপল দেয়ার পর সবশেষে মোটা রশি দিয়ে চতুর্দিকে টাইট করে বাধা হয়। ফলে কোন আসবাবপত্র নরাচরা করার সুযোগ থাকে না। আসবাব পত্রে কোন দাগ বা ডেমেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
ধাপ- ৫- বাসা বদল এর কার্টুন বক্স
কার্টুন বক্স আমারা সাধারনত আমাদের কোম্পানীর নিজস্ব কার্টুন বক্সই ব্যবহার করি। আমাদের রয়েছে কোম্পানির নাম ও লগো দিয়ে ছাপানো নতুন কার্টুন বক্স। এই বক্সগুলো শিফটিং বান্ধব ও প্যাকিং কাজে সহজতর। কয়েক সাইজের বক্স রয়েছে। এই বক্সগুলো এক্সপোর্ট কোয়ালিটির। আমরা আলাদা ভাবে কার্টুন বক্স বিক্রীও করে থাকি। প্রতি বক্সের মূল্য ২০০টাকা। যে সামগ্রীর জন্য যে সাইজ দরকার সেই সাইজেরই ব্যবহার করা যায়। একাধিক সাইজের বক্সের সুবিধা হলো সাইজ মোতাবেক মালামাল ভরা যায়। তাহলে জিনিসপত্র নষ্ট বা ভাঙ্গার সম্ভাবনা থাকে না। বক্সের উপরেআইটেম অনুযায়ী তালিকা দেওয়া আছে তাই সহজেই চিহ্নিত করা যায়। শুধু টিক চিহ্ন অথবা ফাঁকা লাইনে মার্কার বা কলম দিয়ে লিখে রাখলে দ্রুত খুজে পাওয়া যায়। কাঁচ, গ্লাস এবং ভঙ্গুর আইটেম এর জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এজাতীয় জিনিসের জন্য বিশেষ চিহ্নবিশিষ্ট কার্টুন বক্স রয়েছে। ফলে ভঙ্গুর পদার্থের জিনিস পত্রের বেলায় বিশেষ যতœ ও সতর্কতা অবলম্বন করা যায়। আমাদের বক্সগুলো অপেক্ষাকৃত শক্ত ও মজবুত যার ফলে একটির উপর একটি রাখলে বক্স বাকিয়ে যায়না। মালামাল নষ্ট হয়না। আমাদের কার্টুনগুলো নিজস্ব গোডাউনে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা হয় ফলে টেম্পার থাকে অটুট।
ধাপ- ৬- বাসা বদলের লেবার
বাসা বদলের লেবার বা জনবল: আমাদের আরেকটি প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে আমারা ভাড়া করা লেবার দিয়ে কাজ করাই না। আমাদের রয়েছে রয়েছে ৩০জনের নিজস্ব লেবার টিম। কোম্পানির নিজস্ব হাউজে শ্রমিকরা বসবাস করে। প্রতি টিমে ৫-৬জন করে লেবার কাজ করে। প্রতি টীমে ১জন করে সুপারভাইজার/ টীম লিডার থাকে। প্রতিদিন ১০টা বাসা-অফিস শিফটিং করার মত লেবার ও পরিবহন মওজুত থাকে। ২৪ঘন্টার যে কোন সময় আমাদের কর্পোরেট অফিস থেকে কাজের ফরমায়েশ/ রিকুইজিশনপ্রদান করলে তাৎক্ষনিকভাবে প্রয়োজনীয় টুলস প্যাকিং ম্যাটারিয়ালস পরিবহন নিয়ে কাজের সাইটেট চলে যায়। লেবারদের বসবাসের স্থানটি শহরের কেন্দ্র বিন্দুতে হওয়ায় রাত ও দিনের যেকোন সময় যেকোন স্থানে তাদের যাওয়া আসা করতে কোন অসুবিধা হয় না। প্রতি মাসের ৫-১০ তারিখের মধ্যে কোন শ্রমিকের ছুটির প্রয়োজন হলে যেতে পারে।
ধাপ- ৭- কল সেন্টার ও সার্ভিস :
আমাদের রয়েছে ২৪/৭ ঘন্টা কল সেন্টার সুবিধা। গ্রাহক দিন রাত ২৪ ঘন্টা যেকোনো সময় আমাদের কোম্পানীতে যোগাযোগ করতে পারেন। অনলাইনেও এসেসমেন্ট ফরম ফিলাপ করে দরদাম জানতে পারেন যে কোন সময়। এ্যাপসের মাধ্যমেও অর্ডার প্রদান করতে পারেন গ্রাহকরা।
ধাপ- ৮ঃ ইউনিফর্মঃ
প্যাক এন্ড শিফটের রয়েছে কোম্পানির লগো ডিজাইন করা টি শার্ট। লেবারদের স্বাস্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের। ইউনিফর্ম পড়া ছাড়া কাজে যাওয়ার অনুমতি নেই। ইউনিফর্ম নিয়মিত ওয়াশ করার জন্য লোক নিযুক্ত করা আছে। লাল রংয়ের টি-শার্ট পড়া থাকে। লাল রংয়ের টি-শার্টের মধ্যে সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের উপর আমাদের লোগো প্রিন্ট করা।
তাই, ষ্ট্যান্ডার্ড মানের শিফটিং এর জন্য যা যা দরকার সবকিছুই পাবেন গ্রাহকগণ। নিশ্চিন্তে নির্ভর করতে পারেন। সম্পূর্ন ঝুকি মূক্ত একটি প্রতিষ্ঠান। আমাদের সার্ভিস নিলে গ্রাহকদের আর কোথাও ধরনা দিতে হয়না। শিফটিং এর এ-টু জেড সার্ভিস পাবেন আমাদের কাছ থেকে। মুভিং লাইনে আমরাই সবচেয়ে প্রথম ও পুরোনো। কথায় বলে পুরোন চাউল ভাতে বাড়ে। অতএব চোখ বন্ধ করে আমাদের সার্ভিন নিতে পারেন।
করপোরেট রিলোকেশন:
অফিস বদল, অফিস শিফটিং অথবা অফিস পরিবর্তন যে নামেই বলিনা কেন। শুধুতো শিফটিং নয় এর সাথে জড়িত আছে আরো অনেক কিছু। প্যাকিং-আনপ্যাকিং, ফার্ণিচার খোলা-ফিটিং, লোডিং-আনলোডিং সহ আরো কত কি। আইটি ও সার্ভার, ইন্টানেট,অনলাইন ইত্যাদি কাজতো আছেই। তাই অফিসের মালমাল প্যাকিং ও শিফটিং এর কাজটি আসলেই অত্যন্ত ঝামেলাপূর্ণ একটি কাজ।অফিস শিফট মানেই কয়েকদিনের জন্য অফিসের সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ। কোন প্রকার ঝামেলা ও হয়রানী ও ক্ষতি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য শিফটিং এর পূর্বে অবশ্যই একটি পরিকল্পনা তৈরী করতে হইবে। একটি অফিসে বিভিন্ন রকম ফার্ণিচার থাকে, থাকে নথি পত্র, ডকুমেন্ট, ষ্টেশনারীজ সহ ইত্যাদি। অফিসের ধরন ও প্রকার বিভিন্ন রকমের আছে। সেই ধরন ও প্রকারভেদের উপর নির্ভর করে আমাদের কোম্পানীর মুভিং প্রস্তুতি। সর্বপ্রথমে অফিস কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মিটিং এ বসে একটি মুভিং পরিকল্পনা তৈরী করে। অফিসের ধরন ও প্রকারভেদ অনুযায়ী প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা তৈরী করা হয়। সেই অনুযায় পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়।
অফিসের প্রকারঃ ১) করপোরেট অফিস ২) জোনাল অফিস ৩) কান্ট্রি অফিস ৪) প্রধান অফিস ৫) সরকারী অফিস ৬) ব্যাংক ৭) বীমা ৮) কমার্শিয়াল অফিস ৯) ইন্সুরেন্স কোম্পানী অফিস সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরীর অফিস রয়েছে।
অফিসের ধরনঃ বেসরকারী অফিস ২) যৌথ অফিস ৩) ব্যক্তিমালিকানাধীন অফিস ৪) সরকারী অফিস ৫) আধা- সরকারী অফিস ৬) রাষ্ট্রায়ত্ব মালিকানাধীন অফিস।
অফিস শিফটিং এর পূর্বে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করা হয়ঃ
প্রথম ধাপ হচ্ছে প্যাকিংঃ
প্যাকিং করার নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে আমাদের প্যাকার্স টিম হাজির হয়ে যায় নির্দিষ্ট অফিসে। অফিসের ফাইল পত্র যত্ন সহকারে প্যাকিং করতে হয়। ঠিকমত প্যাকিং না করা হলে গুরুত্বপূর্ণ ফাইল হাড়িয়ে যেতে পারে অথবা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। শিফটিং করতে গিয়ে একটি ফাইল না পাওয়া গেলে প্রতিষ্ঠানের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই অত্যন্ত যতœ সহকারে ফাইল, ডকুমেন্ট, বই, ক্যাটালগ, ব্রশিয়র, চুক্তিপত্র, দলিল,লাইসেন্স, ব্যাংক ও ইন্সুরেন্স এর কাগজপত্র আলাদা কার্টুন বক্সে ভরার পর ট্যাগ লাগিয়ে নাম্বারিং করে বক্স এ কর্মকর্তার নাম লিখে রাখা হয়। কার্টুন বক্স এর গায়ে বিভাগের নাম কর্মকর্তার নাম ও এর ভিতর কি কি আছে তার একটা লিস্ট তৈরী করে বক্স গায়ে আঠা দিয়ে লাগানো হয়। এতে নতুন অফিসে গিয়ে পেরেশানী হতে হয় না। খুব সহজেই যার যার জিনিসপত্র খুজে পাওয়া যায়। কোন ফার্ণিচার বা বক্স কোন স্টাফের এবং ভিতরে কি কি আছে বুঝতে অসুবিধা হয়না। এতে খুব অল্প সময়ের মধ্যে নতুন অফিসে গোছানোর কাজ সম্পন্ন করে অফিসের কর্মচাঞ্চল্য ফিরে আনা যায়। ব্যক্তিগত ও নগদ অর্থ মূলবান সামগ্রী এগুলো অফিস কর্তৃপক্ষকে নিজ দায়িত্বে রাখার জন্য নোটিশ দেয়া হয়।
দ্বিতীয় ধাপে টেকনিশিয়ানঃ প্যাক এন্ড শিফট এর টেকনিশিয়ান টিম ম্যানেজার শিফটিং এর কয়েকদিন আগে বর্তমান ও নতুন অফিস সার্ভে করে আসেন। অফিসে কি কি টেকনিক্যাল কাজ রয়েছে। কোন জিনিসটা কোথা থেকে খুলে কোথায় সেটিং হবে। যেমনঃ এয়ারকন্ডিশন, ফ্যান, সার্ভার মেশিন, গিজার, আইপিএস, ভার্টিক্যাল পর্দা। এক্সিকিউটিভ টেবিল, কনফারেন্স টেবিল, ওয়ার্ক ষ্টেশন, থাই গ্লাস সহ বিভিন্ন রকমের টেকনিক্যাল কাজ থাকে। ইলেকট্রিক কাজের জন্য ইলেকট্রিক মিস্ত্রি, ফার্ণিচার খোলা ও ফিটিং এর জন্য ফার্ণিচার মিস্ত্রী আলাদা ভাবে পাঠানো হয়। আমাদের টেকনিশিয়ানরা এগুলো খুলে আলাদা করে প্যাকিং করে ট্যাগ লাগিয়ে রেখে আসেন। পরবর্তীতে আমাদের প্যাকাররা এগুলো মুিভং করে নিয়ে যায়। কোন কোন সময় অফিস অথরিটির নির্দেশনা অনুযায়ী শিফটিং এর পূর্বেই সমস্ত খোল-ফিটিং এর কাজ সম্পন্ন করা হয়। চুড়ান্ত শিফটিং এর দিন, শিফটিং পরবর্তী কোন প্রকার খোলা ও ফিটিং এর কাজ করা হয় না। এতে করে অফিস ও অন্যান্য আসবাবপত্র ময়লা হয়ে যায়।
ওয়ারেন্টিঃ এসব টেকনিক্যাল কাজে শিফটিং এর এক সপ্তাহ পর্যন্ত ফ্রি সার্ভিসিং প্রদান করা হয়। কারন ফিটিং এর পর কিছু সমস্যা থাকতেই পারে, তাই কাজ সম্পন্ন হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে কোন সমস্যা হলে আমাদের টেকনিশিয়ান পাঠিয়ে মেরামতের ব্যবস্থা করা হয়। তবে সাত দিনের বেশী হইলে আমরা এই দায়িত্ব গ্রহন করিনা।
ট্রাক পিকাপ ও কাভারড ভ্যান: বাসা অফিস কিংবা ফ্যাক্টরি শিফট করতে বিভিন্ন ঘরনের ও সাইজের পরিবহন প্রয়োজন হয়। বিশেষ করে বর্ষাকালীন সময়ে কাভারড ভ্যান ছাড়া মালামাল ভিজে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। লং ডিস্টেন্স ও বেশি দূরত্বে শিফট করা কিংবা অত্যন্ত মূল্যবান সামগ্রীর ক্ষেত্রে কাভারড ভ্যান ব্যবহার করাই শ্রেয়। বিশেষ করে ঝড় বৃষ্টি ও বিরুপ আবহাত্তয়ায়, হরতাল অবরোধ রাজনৈতিক অস্থিরতা ইত্যাদি ক্ষেত্রে কভারড ভ্যান নিরাপদ। খোলা ট্রাক ও পিকাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু সুবিধাও আছে যেমন: আসবাবপত্র ট্রাকে লোড দেয়ার পর প্রথমে পলিথিন দিয়ে ঢাকা হয় তার উপর ট্রিপল দেয়া হয়। ট্রিপল দেয়ার পর সবশেষে মোটা রশি দিয়ে চতুর্দিকে টাইট করে বাধা হয়। ফলে কোন আসবাবপত্র নরাচরা করার সুযোগ থাকে না। আসবাব পত্রে কোন দাগ বা ডেমেজ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।
কার্টুন বক্স আমাদের “প্যাক এন্ড শিফট” এর রয়েছে কোম্পানির নাম ও লগো ছাপানো নিজস্ব নতুন কার্টুন বক্স। ইহা একটি মুভার্স এন্ড প্যাকার্স বান্ধব কার্টুন বক্স। কয়েকটি সাইজের বক্স রয়েছে। যে সামগ্রীর জন্য যে সাইজ দরকার সেই সাইজেরই ব্যবহার করা যায়। একাধিক সাইজের বক্সের সুবিধা হলো সাইজ মোতাবেক মালামাল ভরলে জিনিসপত্র নষ্ট বা ভাঙ্গার সম্ভাবনা থাকে না। এই বক্সে বাসা ও অফিসের আইটেম অনুযায়ী তালিকা দেওয়া আছে তাই সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব। শুধু টিক চিহ্ন অথবা ফাঁকা লাইনে মার্কার বা কলম দিয়ে লিখে রাখলে দ্রুত খুজে পাওয়া সম্ভব। কাঁচ, গ্লাস এবং ভঙ্গর আইটেম এর জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। এজাতীয় জিনিসের জন্য বিশেষ চিহ্নবিশিষ্ট কার্টুন বক্স রয়েছে। ফলে ভঙ্গুর পদার্থের জিনিস পত্রের বেলায় বিশেষ যতœ ও সতর্কতা অবলম্বন করা যায়। আমাদের বক্সগুলো অপেক্ষাকৃত শক্ত ও মজবুত যার ফলে একটির উপর একটি রাখলে বক্স বাকিয়ে যায়না। মালামাল নষ্ট হয়না। আমাদের কার্টুনগুলো নিজস্ব গোডাউনে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় রাখা হয় ফলে টেম্পার থাকে অটুট।
বাসা বদলের লেবার/ জনবল: আমাদের রয়েছে নিজস্ব লেবার/ জনবল। কোম্পানির নিজস্ব লেবার রুমে শ্রমিকরা থাকে। এক দিনে একই সমানে ৮/১০ টি বাসা ও অফিস শিফট করার মত জনবল আমাদের মওজুত থাকে। প্রত্যেক কাজে একজন করে টিম লিডার থাকে। টিম লিডারের নির্দেশনা মোতাবেক অন্যান্য প্যাকার্সগণ কাজ করে থাকে। বাসার মালিক বা অফিস কর্তৃপক্ষ কোন কিছু বলার থাকলে, অথবা কোন দিক নির্দেশনা থাকলে টিম সুপারভাইজরকে বলেন। টিম সুপারভাইজর বাকী লেবারদের সেই অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দেন। ২৪ ঘন্টার যে কোন সময় কাজের জন্য কল করলেই তারা কাজের জন্য তৈরী হয়ে গন্তব্য স্থলে চলে যায়।
কল সেন্টার ও সার্ভিস : আমাদের রয়েছে ২৪/৭ ঘন্টা কল সেন্টার সুবিধা। গ্রাহক দিন রাত ২৪ ঘন্টা যেকোনো সময় ফোন করে আমাদের সার্ভিস পেতে পারেন।
ইউনিফর্মঃ প্যাক এন্ড শিফটের রয়েছে কোম্পানির লগো ডিজাইন করা টি শার্ট। লেবারদের স্বাস্থ্য অনুযায়ী বিভিন্ন সাইজের। ইউনিফর্ম পড়া ছাড়া কাজে যাওয়ার অনুমতি নেই। ইউনিফর্ম নিয়মিত ওয়াশ করার জন্য লোক নিযুক্ত করা আছে।
====================================================================
গ্রাহক আমাদের কিভাবে খুজে পায়ঃ
প্যাক এন্ড শিফট এর নাম জানে না এমন লোক খুজে পাওয়া যাবেনা বিশেষ করে যারা বাসা শিফট করে থাকেন। জীবনে একবারও শিফটিং করেছে আর আমাদের কোম্পানীর নাম জানে না এমন লোক পাওয়া দুস্কর। যদি নাও জানেন কোন অসুবিধা নেই। বন্ধু-বান্ধব, অফিসের কলিগ, আত্মীয় স্বজন, প্রতিবেশী বিভিন্ন মাধ্যম থেকে আমাদের সন্ধান পেয়ে যায়। গুগলে গিয়ে মুভিং কোম্পানী বিষয়ে সার্চ দিলে আমাদের কোম্পানীর নামই প্রথমে আসবে। এমন একটা সময় ছিল কাষ্টমারদেরকে আমরা খুজে বেড় করতাম, এখন কাষ্টমারই আমাদের খুজে বেড় করে।
১. সাধারণত আমাদের পুরোনো গ্রাহকই বেশী। যেসব কাস্টমার আমাদের মাধ্যমে একবার কাজ করিয়েছেন ২য় বার অন্য কোথাও হতে সার্ভিস নেয় না।
২. যেসব গ্রাহক একবির সার্ভিস নিয়েছে তাদের রেফারেন্সে, তাদের বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন অফিসের সহকর্মীদের কাছ থেকে আমাদের অফিসের ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করেন।
৩. আমাদের বিজ্ঞাপন দিতে হয়না তদুপরি প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার জন্য বিভিন্ন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিতে হয়। এসব বিজ্ঞাপন হইতে গ্রাহকগণ আমাদের ফোন দিয়ে থাকেন।
৪. অনেক সময় শিফটিং চলাকালীন সময় আমাদের কাজ দেখে আমাদের মুভিং টীমের সাথে যোগাযোগ করে আমাদের কোম্পানিতে ফোন করেন।
তারপর করণীয়ধাপগুলো : যে মাধ্যমেই গ্রাহক আসুক না কেন প্যাকিং আনপ্যাকিং ও শিফটিং সহ শুরু থেএকই প্রসেসিং অবলম্বন করে থাকি।
১. গ্রাহক প্রথমে আমাদের হটলাইনে ফোন করেন অথবা সরাসরি অফিসে চলে আসেন। রিসিপশন থেকে কাস্টমারের সাথে কথা বলার সময় কিছু তথ্য জানতে চাওয়া হয়। তারপর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার নিকট পাঠিয়ে দেয়া হয়। লোকাল মুভিং সেকশন ও ইন্টারন্যাশনাল মুভিং সেকশন দুটি আলাদা সেকশন রয়েছে। শিফটিং এর ধরন অনুযায়ী এসেসমেন্ট ফরম ফিলাপ করা হয় ও পরবর্তীতে আমাদের একটি অনলাইন সফটওয়ার রয়েছে সেখানে এন্ট্রি করা হয়। প্রয়োজন বোধে সরাসরি এসেসমেন্টের জন্য বাসা অফিস কিংবা ফ্যাক্টরীতে এসেসমেন্ট ম্যানেজার পাঠিয়ে এসেস করা হয়। তাদেরকে এসেসমেন্টের রিকুইজিশন দেয়া হয় ও তারিখ জানিয়ে দেয়া হয়। উভয় পক্ষ শিফটিং এর ব্যাপারে চুড়ান্তে পৌছলে ২০% থেকে ৫০% পর্যন্ত অগ্রিম টাকা গ্রহন করা হয়।
২. চুক্তিপত্র অনুযায়ী নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে প্যাকিং ম্যাটারিয়ালস নিয়ে আমাদের প্যাকাররা প্যাকিং করে রেখে আসেন। শিফটিং এর দিন কোন প্যাকিং করা হয় না। খোলা ও ফিটিং এর কাজগুলোও পূর্ব থেকেই সেড়ে ফেলে।
৩. চুড়ান্ত শিফটিং এর দিস সকাল বেলায় ট্রাক ও লেবার শিফটিং এর বাসায় পৌছেন। বাড়ির সামনে গিয়ে ট্রাক পার্কি করে। একজন সুপার ভাইজার বাসার উপরে উঠে অবগত করেন। অনুমতি পেলে কাজ শুরু করেন।
গ্রাহকদের শ্রেণি:
১. ১ম শ্রেনী: ৭০০-৮০০ স্কয়ার ফুটের বাসা- ভাড়া - ১২০০০-১৮০০০
২. ২য় শ্রেণি : ৮০০-১২০০০ স্কয়ার ফুটের বাসা বা ফ্ল্যাট- ভাড়া ১৫০০০-২০০০০ টাকা
৩. ৩য় শ্রেণি : ১৬০০-৩০০০ স্কয়ার ফুটেরবাসা বা ফ্ল্যাট- ভাড়া ১২০০০-১৬০০০ টাকা
এলাকা/মহল্লা/শহর ভেদেও দরদাম কমবেশী হয়। এই দরদাম কমবেশী হওয়ার পেছনে যুক্তিসংগত কারণ অবশ্যই আছে।
এলাকা ভেদে শ্রেণি ৩ ভাগে ভাগ করা যায়:
১। ঢাকার মধ্যে অভিজাত এলাকা : গুলশান, বনানী, বারিধারা, বসুন্ধরা, মহাখালী ডিওএইচএস, মিরপুর ডিওএইচএস, ইসকাটন, বেইলী রোড, ধানমন্ডি, ওয়ারী, গ্রীন রোড, মিরপুর ডিওএইচএস, নিকেতন, রামপুরা, মালিবাগ চৌধুরী পাড়া ইত্যাদি।
২। মোহাম্মদ পুর, আদাবর, নাখালপাড়া, তেজগাঁও, বনশ্রী, মালিবাগ, শান্তিনগর, মুগদা, খিলগাঁও তেজকুনী পাড়া, উত্তরা, রাজাবাজার, মগবাজার, লালবাগ, নিকুন্জ, মিরপুর, মহানগর প্রজেক্ট।
৩। টঙ্গী, গাজীপুর, বছিলা, যাত্রাবাড়ি, গাবতলী, নতুনবাজার, গোড়ান, রায়েরবাজার, বনশ্রী, অদাবর, শেরেবালানগর।
৪। আন্তজেলা বাসা বদল সার্ভিস: বাংলাদেশের যেকোন জেলায় বাসা বদল করে থাকি যেমন: চট্রগ্রাম বিভাগ:, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, কুমিল্লা, চাঁদপুর, বান্দরবন, খাগরাছড়ি।
ঢাকা বিভাগ: নারায়নগঞ্জ, বিক্রমপুর, মুন্সীগঞ্জ, ফরিদপুর, শেরপুর, মাদারীপর, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, গোপালগঞ্জ, গাজিপুর, নরসিংদি।
খুলনা বিভাগ: যশোর, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, সাতক্ষিরা, রাজবাড়ি, নরাইল, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা।
রাজশাহী বিভাগ: নওগাঁ, বগুরা, নাটোর, পাবনা, সিরাজঞ্জ, জয়পুরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ, দিনাজপুর, রাজবাড়ি।
ময়মনসিংহ: নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, ইশ্বরদী, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ।
সিলেট: সুনামগঞ্জ, ব্রামনবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল।
বরিশাল বিভাগ: বরগুনা, ঝালকাঠি, ভোলা, বাগেরহাট, পুটুয়াখালী, পিরোজপুর
রংপুর বিভাগ: কুড়িগ্রাম, সৈয়দপুর, গাইবান্ধা, নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়।
এসব শ্রেনী বিন্যাস এজন্য করা হয়েছে যে, বাসা ভাড়া ও এলাকা ভেদে শিফটিং এর চার্যও কম বেশী হয়ে থাকে। সাধারনত: অভিজাত এলাকায় বসবাসকারীগণ বেশী দামী ফার্ণিচার ব্যবহার করে থাকেন। দামী ফার্ণিচার প্যাকিং করতে হয় উন্নতমানের। তাই স্বাভাবিক ভাবেই মূল্য একটু বেশী হয়। তাই, সবকিছুর সাথে মিল রেখে ভাল সার্ভিস প্রদানের লক্ষে বাসা বদলের জন্য ভাল মানের ট্রাক ও লেবার সরবরাহ করে থাকে যাতে গ্রাহকের কোন অভিযোগ না আসে। অগ্রীম বুকিং দিতে অনলাইন ফরম ফিলাপ করে পাঠিয়ে দিন, অল্প সময়ের মধ্যেই পেয়ে যাবেন দরদাম: https://www.packnshift.com/#get-quote
সরাসরি কথা বদতে আমাদের হটলাইনে কল করুন: ০১৭৯৮ ১১১ ২২২
Comments