বাসা বাড়ি বদল সার্ভিস, আগে থেকেই প্রস্তুত সবকিছু
রাজধানী ঢাকা সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলাতে অনেকেই বাসা ভাড়া নিয়ে থাকেন। চাকুরীতে বদলী-প্রমোশন, সন্তানের স্কুল পরিবর্তন, বর্তমান ও নতুন বাসার সুবিধা অসুবিধা ইত্যাদি সহ আরো বহু কারনেই বাড়ি বদল করে থাকেন অনেকেই। বাড়িওয়ালার সাথে বনিবণা না হওয়ার কারনেও বাসা পরিবর্তন করা হয়ে থাকে।
আরো আছে যেমন যেমন, গ্যাস পানি বিদ্যুত ইত্যাদি সমস্যাজিনত কারনেও বাড়ি স্থানান্তর করে থাকেন কেউ কেউ। কেউবা ভাড়া বাসায় আছেন নিজের ফ্লাটে বা বাসায় উঠার জন্য বাড়ি স্থানান্তর করেন। আবার কেউ কেউ নিজের বাড়িতে সকল সুযোগ সুবিধা না থাকার কারনে ভাড়া বাসায় উঠেন। অথবা নিজের বাড়ি সাধারণ এলাকায় কিন্ত স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে অভিজাত এলাকায় বসবাসের জন্যও অনেকেই বাসা পরিবর্তন করে থাকেন। কেউ হয়তো নিজ দেশ পাড়ি দিয়ে বিদেশ বিভূইয়ে পাড়ি দেওয়ার জন্য বাসা বদল করেন এমন সংখ্যাটাও কিন্তু কম নয়। কিন্তু বাসা পরিবর্তন করাটা বিরক্তিকর একটি কাজ হিসেবে মনে করেন অনেকেই। কেননা বাসার সমস্ত জিনিসপত্র এলোমেলো করে আবার নতুন বাসায় গিয়ে গুছিয়ে রাখা বেশ কষ্টের। এই বড় কাজটি ছুটির দিনগুলোতেই সেরে ফেলতে হয়। বাসা পরিবর্তনের কাজটি সেরে ফেলার আগে যে ৫ টি বিষয় মাথায় রাখবেন।
ইন্টারনেট, ফোন ও ডিস সংযোগ
বাসা বদল করার কমপক্ষে পনের দিন আগে বাসার নেট কানেকশন, ডিশ ও ল্যান্ড ফোনের অফিসে যোগাযোগ করে রাখুন। তাদেরকে নতুন ঠিকানা জানিয়ে দিন, তাহলে নতুন বাসায় গিয়ে ইন্টারনেট, টিভি কিংবা ফোনের নিয়ে বিপদে পড়তে হবে না। নতুন এলাকায় বাসা শিফটিং করার পূর্বেই ডিশ ও ইন্টারনেট অফিসে যোগাযোগ করে কানেকশনের জন্য আবেদন করে রাখুন সেই সাথে আপনি কবে কানেকশন লাগাতে চান সেটিও উল্লেখ করুন।
ট্রাক ও পিকআপ ভাড়া
যদি শিফটিং কোম্পানীর সহযোগিতা ছাড়া নিজেই বাসা শিফটিং করতে চান তবে ঘরের আসবাবপত্র বহনের জন্য জন্য ভ্যান, পিকআপ বা ট্রাক ভাড়ার বন্দোবস্থ আগেই করে রাখুন। বাসার জিনিসের পরিমাণ অনুমান করে আগে থেকেই ভ্যান, পিকআপ বা ট্রাক ঠিক করে রাখুন, নাহলে শেষ মূহূর্তে নাও পেতে পারেন। ভ্যান, পিকআপ কিংবা ট্রাক যেটাই ভাড়া করে থাকেন, আগে থেকেই তাদেরকে বাসা বদলানোর সময় ও নতুন বাসার ঠিকানা জানিয়ে দেবেন। আরও ভালো হয় যদি বাসা বদলানোর আগের দিন রাতে ফোন দিয়ে তাদেরকে আবার একটু মনে করিয়ে দিতে পারেন, তাহলে তারা সময় মত এসে পড়বেন।
নতুন বাসা পরিষ্কার
নতুন বাসা ভাড়া নেওয়ার আগেই বাড়িওয়ালার সাথে চুক্তি করে নিন সম্পূর্ণ বাসা রং করে দিবে কিনা। কারন বাসায় যদি রং করা না হয় আপনার মনে হবে যে পুরান বাসায় উঠেছি। যদি রং করা থাকে সবকিছুই নতুন নতুন মনে হবে। মনও হবে প্রফুল্ল। বাসা রং করার পর ফ্লোর ক্লিনিং করে নিন। বাসার দরজা-জানালার পর্দার মাপ নিয়ে আগে থেকে নিয়েই সেলাই করতে দিয়ে দিন। বাসায় ওঠার ১/২ দিন আগে গিয়ে দেখুন বাসা ময়লা অবস্থায় আছে কিনা। বাসায় ধুলাবালি থাকলে সেগুলো পরিষ্কার করিয়ে নিন। সমস্ত ফিটিংসগুলো পরিস্কার করে নিন। ফ্লোরের টাইলস এ দাগ ও ময়লা থাকলে ক্লিন করে নিন আগে থেকেই। বেসিন, কমোড ইত্যাদি ওয়াশ ভালো করে পরিষ্কার করিয়ে নিন আগে থেকেই।
প্যাকিং
বাসা বদলের কমপক্ষে ১ মাস আগে থেকেই আপনি জেনে নিবেন বাসা বদলের টেকনিকগুলো,এগুলো নতুন বাসা যাওয়ার ব্যপারে সহায়ক হবে। গোছগাছ আপনি যত তাড়াতাড়ি শুরু করবেন, আপনার কাজ ততই এগিয়ে থাকবে। আর, বাসা বদলের ৩/৪ দিন আগে কার্টুন বক্স এ আপনার প্রয়োজনীয় জিনিস ভরে রাখুন। আর যেহেতু আপনার অনেক গুলো বাক্স হবে তাই, বাক্সের ওপরে কাগজে লিস্ট করে লিখে ফেলুন বাক্সে কি কি আছে। আর অবশ্যই কাঁচের জিনিস বাক্সে তোলার আগে কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে নিন যাতে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা না থাকে।
রান্নাঘর গোছগাছ
সমস্ত বাসায় আপনার যতই জিনিস থাকুক না কেন, আপনার বেশি গুছাতে হবে রান্নাঘরের জিনিস। আপনার ফ্রিজে যদি অনেক কিছু থাকে কাঁচা মাছ, মাংস, তরকারি, তাহলে ৩/৪ দিন আগে থেকেই সব রান্না করে শেষ করে ফেলুন। বাসা বদলানোর দিন যেহেতু ফ্রিজ দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে, তাই কাঁচা জিনিস নষ্ট হয়ে যাবে। বাসা বদলানোর আগের দিন কমপক্ষে ১ দিনের জন্য রান্না করে নিন, যাতে নতুন বাসাতে গিয়ে রান্নার ঝামেলা পোহাতে না হয়।
এজন্য বাড়ি বদল সার্ভিস এর জন্য চাই একটি স্বনামধ্যন্য ও ভাল শিফটিং এজেন্সীর প্রয়োজন। এজেন্সী যদি ভাল না হয় তাহলে আপনার আসবাপত্রের সঠিক যত্ন নিতে পারবেনা। এ কাজে আমাদের রয়েছে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা বাসা বাড়ি পরিবর্তনের প্রতিটি ধাপের জন্য রয়েছে আলাদা অভিজ্ঞ টিম। অতএব, আপনার আসবাবপত্রের সঠিক যত্ন নিতে আমাদের সার্ভিস নিন, নিরাপদ থাকুন।
Comments